
একাডেমি প্রাঙ্গন | উইকিমিডিয়া কমন্স, সিসি-বাই-এসএ-৪.০।
চট্টগ্রাম কলাভবন মূলত আশির দশকে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো যা বর্তমানে জেলা শিল্পকলা একাডেমি বা চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি নামে পরিচিতি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অধিভুক্ত-নিয়ন্ত্রিত জেলাভিত্তিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যা চট্টগ্রামের দামপাড়া অধিনস্ত মোহাম্মদ আলী সড়কে ম্যানোলা পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী বাগমনিরাম এলাকায় অবস্থিত।

নামফলক উদ্ভোধন করেন ফরাসী মনিষী মসিয় অঁদ্রে মালরো | উইকিমিডিয়া কমন্স, সিসি-বাই-এসএ-৪.০।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, ১৯৭৩ সালে “চট্টগ্রাম কলাভবন” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী।[১] একই বছর ২৩ এপ্রিল ফরাসি মনীষী মসিয় অঁদ্রে মাল্রো বর্তমান শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে কলাভবন উদ্বোধন করেন। চার চছর পর, “চট্টগ্রাম উৎসব ১৯৭৭” উদ্যাপনের তৎকালীন উদ্যেশ্যে শিল্প ও সাহিত্য পরিষদের সভাপতি এবং তৎকালীন জেলা প্রশাশক হাসনাত আবদুল হাইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম কলাভবন নামে একটি অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।[২][৩][৪] পরবর্তীকালে ১৯৯৫ সালে, বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় কতৃক স্বয়ংক্রিয় নবায়নযোগ্য লীজ হিসাবে প্রদানকৃত একাডেমির বর্তমান স্থানে শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়।[৫]
কার্যক্রম

পহেলা ফাল্গুণ উদ্যাপন। উইকিমিডিয়া কমন্স, সিসি-বাই-এসএ-৪.০।
চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মূলত সঙ্গীত, চারুকলা, নৃত্য, মঞ্চনাটক সহ বিবিধ সাংস্কৃতিক বিষয়ের চর্চা এবং বিকাশ ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই একাডেমি জেলাভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচি- প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, পরীক্ষা পরিচালনা ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে থাকে। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা বর্ষ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান, বসন্ত উৎসব, পৌষ মেলা, লোকজ সাংস্কৃতিক মেলা, জাতীয় শিশু দিবস, জাতীয় শোক দিবস, রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী, নজরুল জন্মজয়ন্তী, বিশ্বসঙ্গীত দিবস, বিশ্ব নাট্য দিবস, আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস, ঋতু ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাৎসরিক চারুকলা প্রদর্শনী, আবৃত্তি উৎসব, নাট্য উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ত্রৈমাসিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।[৬]
এছাড়াও, গুণীজনদের জন্ম-মৃত্যু উদযাপনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।[৭] প্রতিবছর এই একাডেমিতে বিভিন্ন নাট্যউৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে।[৭]
তথ্যসূত্র
১। শামসুল হোসাইন (এপ্রিল ০৪, ২০১৪)। “শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্বপ্ন ও উদ্যোগ”। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ। সংগৃহীত জুন ২০, ২০১৪।
২। “চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন – আধুনিকায়ন হয়নি ৩৮ বছরেও”। দৈনিক প্রথম আলো। জানুয়ারি ২৪, ২০১৫। সংগৃহীত মার্চ ১৩, ২০১৫।
৩। ঊর্মি বড়ুয়া (মে ৬, ২০১৬)। “নবরূপে সাজছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি”। দৈনিক পূর্বকোণ (চট্টগ্রাম)। সংগৃহীত মে ১৩, ২০১৬।
৪। মোহাম্মদ খালেদ, সম্পাদক (নভেম্বর ১৯৯৫)। হাজার বছরের চট্টগ্রাম (দৈনিক আজাদী ৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা) (মুদ্রণ) (প্রথম সংস্করণ)। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক (দৈনিক আজাদী)।
৫। “জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম”। shilpakala.chittagong.gov.bd। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সংগৃহীত মে ১৩, ২০১৬।
৬। বিকিরণ বড়ুয়া (সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫)। “জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চট্টগ্রাম – নির্মল শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার অনন্য প্রাণকেন্দ্র”। দৈনিক আজাদী (চট্টগ্রাম: এম এ মালেক)। সংগৃহীত মে ১৩, ২০১৬।
৭। “চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজিত “নাট্যোৎসব ২০১৪””। ctgbarta24.com। ২০১৪। সংগৃহীত মার্চ ১৩, ২০১৫।